রাইটার ও ক্লায়েন্ট

হে শ্রদ্ধেও,

আপনি যদি এই খানে কোন রেভুলেশনরি আইডিয়া পেয়ে যাবেন, এই ভেবে পড়া শুরু করেন, তাহলে কিবোর্ড থেকে ctrl+w প্রেস করুন। আপনার জন্য, শুভ কামনা। 

পশ্চাৎ এ ধানসিদ্ধর হাড়ি নিয়ে কখন ভাল সম্পর্ক হয় না।

সব থেকে ভালো আর্টিকেল রাইটার কে? এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি হয়ত ভাবছেন, যিনি অনেক ভাল ইংরেজি বলেন, তিনিই সব থেকে ভাল আর্টিকেল লিখবেন এইটাই স্বাভাবিক। আপনার এই উত্তরে ছোট একটা ঝামেলা আছে। আসেন, এই ছোট ঝামেলা কে ঠিক করি, তারপর রাইটার খোঁজার চেষ্টা করবনে।

আপনি কখন বাংলায় আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করছেন? যদি করে থাকেন, তাহলে এই সমস্যা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। শুধু মাত্র বাংলা বলতে পারলেই, ভাল বাংলা আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। কারণ, আর্টিকেল মানে শুধু সুন্দর ভাষা ব্যবহার করা না। আসলে, আর্টিকেল হল ডাটা এবং ডাটা প্রেজেন্টেশনের খেলা।

মনেকরেন, আপনি বাংলায় অনার্স, মাস্টার্স কম্পিলিট করছেন। এইবার, আপনাকে বলা হল, হিউম্যান বডির উপরে একটা আর্টিকেল লিখতে। আপনি সাধু ভাষায় একটা আর্টিকেল লিখে ফেললেন, পড়ে মনে হল, প্রায় রবীন্দ্রনাথ। এইবার, একই আর্টিকেল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা, মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন, এমন কাউকে দিয়ে লেখান হল। তিনি চলিত ভাষায় হিউম্যান বডির উপরে একটা আর্টিকেল লিখে ফেলেন।

আপনার কি মনেহয়? কার আর্টিকেল এই খানে অনেক বেশি ডাটায় পরিপূর্ণ থাকবে। মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন, তার লেখায় বেশি ডাটা থাকবে, এইটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনি যে ভাল বাংলা লিখতে পারেন, সেই বিষয়ে কোন সন্ধেহ নেই। তবে, আপনি হিউম্যান বডির উপরে ভাল বাংলায় আর্টিকেল লিখতে পারবেন কি না, সেইটা নিয়ে সন্ধেহ আছে।

আর সাথে যদি ডেডলাইন দেওয়া থাকে তাইলে ত কথাই নেই। ৩ দিন সময় দেওয়া থাকলে, আপনার বেশির ভাগ সময় চলে যাবে, এই হিউম্যান বডির বিভিন্ন পার্টকে কি নামে ডাকা হয় সেইটা জানতে জানতে। আর সেখানে, ঐ স্টুডেন্ট এর কাছে পূর্ব থেকেই বেশির ভাগ টার্ম গুলো পরিচিত। সে খুবই ভাল করে জানে, কোন পার্টের সাথে কোন পার্ট সম্পর্কযুক্ত, তাদের কাজ কি?

তাহলে, আপনার দরকার, এমন একজন রাইটার যার আপনার নিস এর নিয়ে লিখতে ভাল লাগে এবং নিসের বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল টার্মস গুল মোটামুটি জানে।

আপনি কি জানেন, আপনার খুবই কাছের একজন মানুষ আছে যার উপরের দুইটা গুনই খুব ভালোভাবেই আছে, কিন্তু আপনি তাকে সর্বদা তাকে অবজ্ঞা করে চলেছেন।

৫ মিনিটের একটা ব্রেক নেন, খাতা কলম নিয়ে একটা লিস্ট করে ফেলেন। কার মধ্যে এই গুন থাকার সম্ভাবনা আছে এবং আপনার পরিচিত। হতে পারে, সে আপনার নিসের প্রধান কম্পিটিটর সাইটের যে সব কম্পিটিটর আছে, তার কোন একটা ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালিখি করে বা তার ডিরেকশনে কেউ একজন লেখালিখি করে, কারণ তার লেখার সময় নেই।।

লিস্টের একটা নাম দিতে পারেন, হতে পারে “{আপনার নাম} এর {নিসের নাম} নিসের কুয়ালিটি রাইটার লিস্ট”।

লিস্ট করা শেষ?

বাহা! আপনার লিস্ট খুব সুন্দর হইছে কিন্তু লিস্টের মধ্যে আপনার নাম কই? এই লিস্টে সবার প্রথমে আপনার নাম থাকা উচিৎ ছিল। কারণ, আপনার নিসের টেকনিক্যাল টার্মস গুল, আপনি ভাল জানার কথা। আপনার লেখার জন্য পর্যপ্ত সময় নেই, এই জন্য একজন রাইটার খুজচ্ছেন। যে আপনার হয়ে লেখার কাজটা করে দিবে।

তাহলে, আমাদের কাজ হবে এমন একজন রাইটার খুজে বের করা যার আপনার নিসের সাথে পরিচয় আছে। চলেন খোজা শুরু করি।

রাইটার খুঁজছি

রাইটার খোজার জন্য, আমারা freelancer.com কে বেশি প্রাধান্য দিব। কারণ, এইখানে fees অন্য জায়গা থেকে তুলনামূলক কম। আর অনেক পুরন সাইট হওয়ার কারণে, নতুন পুরাতন মিলায়ে এই খানে রাইটারে সংখ্যা একটু বেশিই। কিন্তু রাইটার হায়ার করার পূর্বে, আমরা কিছু ক্রাইটরিয়া ঠিক করে নিব।

  • আমাদের ম্যাক্সিমাম বাজেট আপাতত ৫০০ ওয়ার্ডের জন্য, ৫ ডলার।

জব ডিটেইলস এ যে সব বিষয় গুল, অবশ্যই লেখা থাকবে

  • রাইটার যে কোন দেশের হতে পারে, তবে ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রোমানিয়া এবং গ্রিস, এর মধ্যে থেকে যে কোন রাইটার আমাদের ক্রাইটোরিয়া ফুলফিল করলে, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
  • জব পোস্টে বাজেট লেখা থাকবে ৭ ডলার প্রতি ১০০০ ওয়ার্ডের জন্য।
  • নিস অনুযায়ী রাইটার ছেলে বা মেয়ে এইটা ঠিক করা হবে। যেমন – কিসেন নিসে সাধারণত রাইটার মেয়ে হলে ভাল লেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে অন্যদিকে টেক নিসে ছেলে।
  • জবে এপ্লাই করার জন্য, গতানুগতিক কোন কভার লেটার পেলে ডিরেক্ট অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট। রাইটারের যে এই নিসের উপর জ্ঞান আছে, এটা জানার জন্য একটা প্রশ্ন করতে পারেন এবং সেটার উত্তর হবে কভার লেটার। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে কেউ যদি ভুল করে, তাহলে কোন ভাবেই তাকে হায়ার করা হবে না। সেখানে তার প্রোফাইলে যতই ভাল রিভিউ বা বেশি ফিডব্যাক থাকুক।

জব পোস্টের জন্য, দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা মোটামুটি ভাল সময়। পোস্ট করার সাথে সাথে দেখবেন, রাইটার বিড করা শুরু করছে। এরপর, আমাদের ক্রাইটরিয়ার সাথে মিলে গেলে, তাকে একটা ট্রায়েল আর্টিকেল দেওয়া।

নোটঃ অবশ্যই, তাকে হায়ার করে ট্রায়াল আর্টিকেলের জন্য মাইলস্টোন ক্রিয়েট করে নিবেন।

আর্টিকেল এর ইন্সট্রাকশন ফাইল রেডি

তবে, এইখানে আমার মনেহয় একটা ভাল মানের ইন্সট্রাকশন ফাইল, একটা আর্টিকেল প্রায় ৮০% কাজ শেহ হয়ে যায়। তাহলে, আপনার মনেহতে পারে ভাল ইন্সট্রাকশন ত আমি দিয়েই দেব এবং আমার একটা ফর্মেট আছেঃ

  • কিওয়ার্ড থাকবে টাইটেলে, মেটায়, প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে, সাবহেডিং, শেষে ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে
  • টাইটেলের মধ্যে যেন পাওয়ার ওয়ার্ড থাকে
  • যতটা সম্ভাব LSI কিওয়ার্ড ব্যাবহার,
  • সাব হেডিং ব্যবহার করা,
  • টেবিল,
  • ভাল মানের রেফারেন্স
  • গুগল থেকে FAQs
  • আপনার কম্পিটিটর সবাই ম্যাক্সিমাম ৩০০০ ওয়ার্ড দিছে, আপনার রাইটার কে বলে দিলেন, ৩৫০০ ওয়ার্ড লিখে দাও।
  • এবং সবার শেষে আপনার ভাল লাগা কিছু স্যাম্পেল আর্টিকেল ধরার দিলেন

এই ধরনের টেমপ্লেট রাইটারকে দিলেন। এরপর আপনি পুরাই নাকে সরিষার তেল দিয়ে, ঘুমাতে গেলেন। হ্যাঁ, আপনার প্লান মোটামুটি ঠিক আছে যদি রাইটার নিজ দ্বায়িত্বে বাকি কাজ গুল করে ফেলতে পারে। 

কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাইটার মনে করবে তার আসল কাজ হল, ইন্সট্রাকশন ফলো করা। সে লেখার সময় ডাটা দেওয়ার থেকেও বেশি খেয়াল করবে, ইন্সট্রাকশনের সব গুল সে ফুলফিল করতে পারছে কি না? যেমন – আপনি SEO প্লাগিন গুলর রিকোমেন্ডসন ফুলফিল করার জন্য, মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাই আর্টিকেল এর মান চলে গেলেও, আপনার কিছু যায় আসে না।

উপরের ইন্সট্রাকশনের প্রায় সবই ঠিক আছে, তবে কন্সেপ্টে একটু পরিবর্তন করা দরকার। সেটা হল, প্রতিটা আর্টিকেলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ইন্সট্রাকশন ফাইল রেডি করা। আর সেইটা গুগল ডকে শেয়ার করে, রাইটারকে ডিরেক্ট ঐ ফাইলে লিখতে বলা। এইটা অনেকটা SurferSEO এর মত করে লিংক শেয়ার করা, যেখানে রাইটার ডিরেক্ট আর্টিকেল লেখার সুযোগ থাকে।

ইন্সট্রাকশন ফাইল রেডি করার ক্ষেত্রে Frase খুবই কাজের একটা জিনিস। Frase এর সব থেকে ভাল দিক হল, কোন ধরনের ডাটা দেওয়া উচিৎ, কম্পিটিটর কি ব্যাবহার করছে, এইটা আপনি এক ক্লিকেই বের করে ফেলতে পারবেন। এরপর ফাইলটা নিজে একবার পড়ে দেখেন। কোন জায়গায়, সংযোজন বিয়োজন করার দরকার হলে করে ফেলুন।

এই ধরনের টুলস গুল, আপনার কম্পিটিটর দের কে এ্যানালিসিস করে রিকোমেন্ডেড ফাইল রেডি করে, আপনাকে দেখায়। সুতরাং, SERP এ প্রথমে থাকা ১০ জনের অবস্থা যদি খারাপ হয়, তাহলে আপনার ইন্সট্রাকশন ফাইলেও তেমন ভাল কিছু আসার কথা না। হয়ত, তারা কেউ FAQs, Table কোন কিছুই ব্যাবহার করেনি, সুতরাং আপনার ফাইলেও তেমন কিছু থাকবে না। এইখানে, আরো একটু সময় দিয়ে কিছু ডাটা লিস্ট করে দিতে পারেন, কোন ধরনের টেবিল চাইছেন, কিছু FAQs আপনার মত করে এ্যাড করে দিতে পারেন।

আর্টিকেল রিভিউ

রাইটার আর্টিকেল দেওয়ার সাথে সাথে, আপনার কাজ হবে, আপনি রিভিউ করে জানাবেন, এই ধরনের একটা ম্যাসেজ দিয়ে, মাইলস্টন রিলিজ করে দেওয়া। সাথে একটা ধন্যবাদ দিয়েন।

আমি ধরে নিলাম, রাইটার খুবই নিম্নমানের একটা আর্টিকেল দিয়েছে। এইখানে রাইটারের কাজছিল, একটা ভাল আর্টিকেল দেওয়া এবং সে সেইটা মিস করছে। তারমানে, এই না যে, আপনি নিজে ঐ নিম্নমানের সারিতে নেমে যাবেন। মাইলস্টন রিলিজ করে দেওয়ার সাথে সাথে, আপনার সম্বন্ধে, রাইটারের একটা ভাল ইম্প্রেশন তৈরি হবে। আর এই ভাল ইম্প্রেশনটাই আপনাকে নেক্সট আর্টিকেলে ভাল কিছু করার জন্য তাকে ইন্সপায়ারেশন যোগাবে।

আপনার মনেহতে পারে, ভাই মাইলস্টন রিলিজ করে দিলে ত, সে টাকা নিয়ে চলে গেল। এখন, আর্টিকেল যদি ভাল না হয়, তাইলে ত আমার টাকা সময় দুই নষ্ট। আসেন একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা কই, আপনি শুধু আপনার গুরুর ইনকাম স্ক্রিনশট দেখছেন, একদিন একটা খরচের স্ক্রিনশট দিতে বলেন। তখন বুঝবেন, ইনকাম স্ক্রিনশর্ট কেন এত লোভনীয়।

এরপর আর্টিকেল smallseotools দিয়ে চেক করতে পারেন, ফ্রি জিনিস, তবে একেবারে খারাপ না। এরপর পড়া শুরু করেন, আর্টিকেলের কোন জায়গায় আপনার যদি অসঙ্গতি মনেহয় বা তেমন ভাল না লাগে, তাহলে অবশ্যই রাইটারকে কমেন্ট করে জানান, কি কারণে আপনার খারাপ লেগেছে। কোন জায়গায় ভাল লেগেছে, এইটাও তাকে জানান। যেহেতু আর্টিকেল গুগল ডকে শেয়ার করা, কমেন্ট করে আপনি খুবই সহজে, রাইটারকে আপনার ডিমান্ড বুঝাতে পারবেন।

আপনার হয়ত প্লান ছিল, মাসে অন্তত ৯০ টা আর্টিকেল পাবলিশ করা। তাহলে, এত আর্টিকেল একা মানুষ রিভিউ কি ভাবে করবেন? ভাই, আর্টিকেল রিভিউ করতে সময় না পাইলে, যত গুল রিভিউ করার সুযোগ পান, সেই গুল করেন। ওয়েব সাইটে আর্টিকেল দিয়ে ভর্তি করে রেখে দিলেন কিন্তু কোন আর্টিকেল ঠিকঠাক মত হয়নি। তখন পকেটের টাকা, সময় দুই যাবে। মাঝ দিয়ে, মনেহবে অনলাইনে যারা ইনকাম করে তারা সবাই “শুয়া বাবার” অদৃশ্য তাবিজ আঙুলে বেঁধে নিছে। এই আঙুল দিয়ে টাইপিং করে, মানুষকে হিপ্নটাইজ করা যায়। তারপর ক্লাইন্টের ক্রেডিট কার্ডের ডিটেইলস নিয়ে, নিজের এ্যাক্যাউন্টে ডলার ট্রান্সফার করে নিলেই হয়ে গেল।

ভিন্ন চিন্তাঃ

এইটা আসলে ভিন্ন চিন্তা না, আপনি যা চিন্তা করেন, তার সাথে হালকা একটু গাড়ো রঙ এর ছোট দাগ টেনে এ্যারিয়া নির্দেশ করা। আমাদের বাজেট ছিল ডলার ১০/১০০০ ওয়ার্ড কিন্তু রাইটারকে দিয়েছি ডলার ৭/১০০০ ওয়ার্ডের জন্য। এ ছাড়াও, ফ্রিল্যান্সার সাইট আবার কিছু চার্জ করবে। আমি ধরেনিলাম, প্রতি ১০০০ ওয়ার্ড লেখাতে আমাদের রিয়েল ৭.৫ ডলার। তাহলে, আমাদের কাছে এখন ২.৫ ডলারের মত রিজার্ভ আছে। একজন রাইটার মোটামুটি আর্টিকেলের মান ঠিক রেখে মাসে ৫০,০০০ ওয়ার্ড লিখতেই পারে। তাহলে, আপনার কাছে আর্টিকেল বাজেটে ১২৫ ডলার প্রতি মাসে সেভ হচ্ছে।

এইটা এখন কি করবেন? এইখান থেকে নিদৃষ্ট পরিমানে একটা অংশ দিয়ে, নতুন রাইটার খোঁজার জন্য ইনভেস্ট করেন, আর বাকিটা রাইটারকে কিছু একটা গিফট হিসাবে দেন। গিফট, অবশ্যই, অবশ্যই, অবশ্যই যেন আপনার নিস রিলেটেড কিছু একটা হয়। মনেকরনে, আপনি ট্রাভেল নিসের উপর কাজ করছেন। একটু সার্স দিয়ে দেখলেন, আপনার রাইটারের বাড়ির খুবই কাছে একটা দর্শনীয় স্থান আছে। রাইটাকে বললেন, এই সপ্তাহে তুমি এখানে ঘুরতে যেতে পারো। যা খরচ হয়, সবই আমি বহন করব। ভ্রমনের শুরু থেকে শেষ নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখে ফেল।

যাই হোক, উপরের টা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ। আপনি ইচ্ছা করলে, তাকে আপনার নিস সম্পর্কিত কোন প্রোডাক্ট গিফট দিতে পারেন।

আসল কথা হল, নেক্সট টাইম আপনার আর্টিকেল লিখতে বসলে যেন, রাইটার আপনার থেকেও বেশি রিসার্চ করে। আর তার ফাইনাল আউটপুট, আপনি তখন ৯০ টা আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন, কারণ রিভিউ করতে তখন আর আপনার বেশি সময় লাগবে না।

দিন শেষে, আপনার কাছে “Time is money, and money brings more money.”।

১৬২৮ ওয়ার্ড

আপনি এত সময় ধরে, ১৬২৮ ওয়ার্ড পড়ে ফেলছেন। তার জন্য, আপনাকে

  • Save

কিন্তু এখন আপনার প্রশ্ন হল, আমার ত ইনভেস্ট করার মত অত বাজেট নেই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিং এ অন্তত যারা ভাল করছে, তাদের বেশির ভাগের প্রথম দিকের অবস্থা আপনার মতছিল।

ইন্টারনেট বিল + পিসি কেনার টাকা পকেটেছিল, তারপর মুনওয়াক করতে করতে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করছে, আপনার খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। ফ্রিল্যান্সিং জায়গাটা সম্পূর্ণ স্কিলের। আপনার স্কিল নেই, ধরা খাবেন এটা নিশ্চিত।

বস, পাড়ার নেতা, আমার খুবই কাছের বন্ধুর ক্লোস দোস্তর একমাত্র খালাত ভাইয়ের ১ নাম্বার কলেজ ফ্রেন্ডের ছোট ভাই র‍্যাবে চাকরি করে, এই দোহাই দিয়ে টিকে থাকা সম্ভাব না। আর গুরুর স্ক্রিনশর্ট দেখে লাফায় পইড়েন না। তাইলে, আম, ছালা আর পায়ের তলার মাটি পিছলা সব এক সাথেই হবে।

ইন্টারনেট, পিসি কিছুই না থাকলে, আপনার আশেপাশের কোন ওয়াইফাই ফ্রি স্পটে যেয়ে ফোন দিয়ে চেষ্টা করেন। ফোনের সাথে OTG ক্যাবেল দিয়ে, কিবোর্ড এ্যাড করে নেন।

যে কোন একটা নিস নিয়ে, নিজে লেখা শুরু করেন। নিস কম্পিটিশন আছে কি নেই, এত কিছু দেখা লাগবে না। তবে, কথা একটাই, নিস আপনার পছন্দের হওয়া লাগবে। পাশের বাসার ফ্রিল্যান্সার, কিচেন নিসে ভাল করছেন, আপনি ভাল করবেন, এমন কোন কথা নেই। আপনার যা ভাল লাগে, তাই নিয়ে লেখা শুরু করেন। খুবই কষ্ট হয়ে গেলে, টেবিল, পাইচার্ট বানায়ে শেয়ার করেন। নিস রিলেটেড একজন রাইটারের ভ্যালু যে কত হতে পারে, এটা আপনার চিন্তার বাইরে। আর থেকেও বড় কথা হল, আপনি খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যাবেন।

প্রথমে নিজে একজন রাইটার হয়ে ওঠেন, তারপর কয়েক জনকে রাইটার তৈরি করে ফেলেন। প্রতিমাসে নতুন রাইটার নিয়ে ঝামেলা বৃদ্ধি পাবে ছাড়া কমবে না। রাইটার আর্টিকেল সাবমিট করার পর, প্রথম রিডার হলেন আপনি। আপনার আর্টিকেল ভাল লাগতেও পারে, আবার নাও পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। ভালো খারাপ যাই হোক, আর্টিকেল এ কমেন্ট করে রাইটার কে জানান। আপনি হয়ত, তাকে একটা ম্যাসেজ দিয়ে বলে দিলেন, আর্টিকেল ভাল হয়নি। কিন্তু তার পাশাপাশি এইটাও বলা উচিৎ কি কারণে, আপনার পছন্দ হয়নি এবং অবশ্যই সেইটা কি ভাবে লিখলে আরো ভাল হত। 

একজন রাইটার কখনোই, সব নিসে এক্সপার্ট হতে পারে না। তিনি আসলে, ভাল রিসার্চ করার চেষ্টা করতে পারেন। আর যদি তাকে দিয়ে আপনি সব নিসে এক্সপার্ট রাইটার তৈরি করতে যান, তাহলে ফলাফল খুব একটা ভাল হওয়ার কথা না। সুতরাং, মোটামুটি মানের একজন রাইটারকে খুঁজে বের করেন, যার আপনার নিস নিয়ে লিখতে ভাল লাগে, তারপর তাকে আপনার নিসের উপরে এক্সাপার্ট তৈরি করে ফেলেন।

বিদ্রূপ কুমার মল্লিক
আপনার ইমেইলে বাংলায় ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং এসইও রিলেটেড লেটেস্ট খবর ও আপডেট পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

1 thought on “রাইটার ও ক্লায়েন্ট”

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap