আপনার যদি ফেসবুক বিসনেস পেজ থেকে থাকে তবে আপনি সোজা ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার অথবা বিসনেস ম্যানেজার এ যেয়ে ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পাইন শুরু করে দিতে পারেন। যদি আপনার বিসনেস পেজ না থাকে তবে আপনাকে একটা খুলে নিতে হবে।
আপনি যদি ফেইসবুক মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় তা জানতে চান তবে আপনি আমাদের দেয়া স্টেপস গুলো ফলো করুন ও আমাদের সাথেই থাকুন।
স্টেপ ১ : আপনার লক্ষ্য সিলেক্ট করুন

ফেসবুক এড ম্যানেজার এ লগইন করুন এবং ক্যাম্পাইন ট্যাব সিলেক্ট করুন। তারপর ক্রিয়েট এ ক্লিক করে ফেসবুক নতুন ক্যাম্পাইন শুরু করেন।
ফেইসবুক ১১ টি মার্কেটিং অবজেক্টিভ অফার করে থাকে। নিচে তা আলোচনা করা হলো;
ব্র্যান্ড সচেতনতা: আপনার অডিয়েন্স এর সাথে নতুন ব্রান্ডের পরিচয় করিয়ে দিন।
রিচ: আপনি যত বেশি অডিয়েন্স এর কাছে আপনার এডস পৌঁছাতে পারেন।
ট্রাফিক: ট্রাফিক নির্দিষ্ট ওয়েব পেজ, app, অথবা ফেইসবুক মেসেন্জার এ কনভার্সন করতে পারেন।
এনগেজমেন্ট: বিস্তৃত অডিয়েন্স এ কাছে যত পৌঁছানো যায় লাইক, শেয়ার ও বিভিন্ন অফার এর মাধ্যমে এনগেজমেন্ট বাড়ান।
app ইনস্টল: আপনার app ইনস্টল করতে ট্রাফিক আনুন।
ভিডিও ভিউ: ভিডিও ভিউ বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক বাড়ান
লিড জেনারেশন: আপনার সেল ফার্নেল এ নতুন সম্ভাবনা তৈরী করুন।
মেসেজ: ট্রাফিকদের উৎসাহিত করুন আপনার বিসনেস ফেইসবুক মেসেঞ্জার এ কন্টাক্ট করতে।
কনভার্সন: আপনার ট্রাফিককে লাইক, সাবস্ক্রাইব অথবা যেকোনো নির্দিষ্ট কিছুতে কনভার্সন করুন।
ক্যাটাগরি সেল: ফেইসবুক এডস এর সাথে আপনার প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি অ্যাড করে দিন যাতে আপনার প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি ট্রাফিকদের দেখায়।
স্টোর ট্রাফিক: কাছাকাছি থাকা কাস্টমার গুলাকে সংরক্ষণে রাখুন। যাতে তাদের আবার কাজে লাগানো যায়।
স্টেপ- ২: ক্যাম্পাইন এর একটি সুন্দর নাম দিন

স্ক্রল করে নিচের দিকে ফেইসবুক এড ক্যাম্পাইন নাম এবং A/B স্প্লিট টেস্ট করে দেখে নিন কোথায় বসানো যায়। সাথে আপনি আপনার বাজেট কোথায় দেখবেন সেটাও অপ্টিমাইজ করে দেখুন।
পোস্ট এনগেজমেন্ট লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য আপনাকে পোস্ট এনগেজমেন্ট, পেজ লাইক অথবা রেস্পন্স গুলো কিভাবে দেখাবে ঐটি নিধারণ করে দেখতে হবে।
স্টেপ-০৩: অ্যাড একাউন্ট সেটআপ করুন
আপনি যদি একাউন্ট সেটআপ করে ফেলেন তবে আপনি দেখবেন একটি বাটন আছে যেখানে বলা আছে “ক্লিক” করে পরবর্তী স্টেপে যেতে।
কিন্তু আপনি যদি ফেইসবুক এডভার্টাইসিং এ নতুন হয়ে থাকেন তবে আপনি বাটন পাবেন যেখানে লিখা থাকবে “Set Up Ad Account” ক্লিক করুন ও আপনি আপনার দেশ, মুদ্রা, টাইম জোন নিধারণ করে কন্টিনিউতে ক্লিক করুন।
নোট: খুব সাবধানতার সাথে এইগুলা সিলেক্ট করুন কারণ ভুল কিছু হলে আপনাকে নতুন একটি অ্যাড একাউন্ট করতে হবে।
স্টেপ- ০৪: আপনার অডিয়েন্স টার্গেট করুন

আপনি স্ক্রিন এর প্রথমেই ফেইসবুক এড ক্যাম্পাইন নাম পাবেন এবং আপনি সিলেক্ট করুন কোন পেজ তা প্রমোট করবেন।
নিচে স্ক্রল করে টার্গেট অডিয়েন্স তৈরী করুন। আপনি প্রথমেই কাস্টম অডিয়েন্স তৈরী করার অপশন দেখতে পাবেন। আপনি আপনার টার্গেটেড লোকেশন, বয়স, লিঙ্গ এবং ল্যাঙ্গুয়েজে সিলেক্ট করুন। আপনার সিলেক্ট করা শেষ হলে ডান পাশের স্ক্রীণ ইন্ডিকেটর এ অডিয়েন্স সাইজ দিকে লক্ষ্য করুন। এর মাধ্যমে আপনি অ্যাড এর মাধ্যমে কত অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছাতে পারবেন তা নির্ধারণ করে।
আপনি আরো দেখতে পারবেন কত গুলো লাইক পড়তে পারে। এই আনুমানিক পেজ লাইক তা মোটামোটি সঠিক হয়ে থাকে।
এখন আপনার ডিটেলড টার্গেটিং করার সময়। একটা কথা মনে রাখবেন কাযকরী টার্গেটিং ROI বাড়ানোর চাবিকাঠি। চলুন তাহলে জেনে নেই অডিয়েন্স নির্দিষ্ট করার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
ডিটেইল টার্গেটিং

আপনি জনতাত্ত্বিক, ইন্টারেস্ট এবং আচরণ এর মাধ্যমে অডিয়েন্স ইনক্লুড অথবা এক্সক্লুড করুন। ডিটেইল টার্গেটিং এর মাধ্যমে আপনি সত্যিকার অর্থে ট্রাফিক টার্গেট করতে পারবেন। যেমন আপনি মেডিটেশন ও ইয়োগা ২ টি রাখবেন কিন্তু যারা হট ইয়োগা পছন্দ করে তাদের অবশ্যই বাদ দিয়ে দিবেন।
কানেকশন
আপনার ফেসবুক এর সাথে যাদের কানেক্শন আছে তাদের আপনি টার্গেট করবেন অথবা বাদ দিবেন। যেমনঃ আপনি যদি নতুন অডিয়েন্স এর খোঁজ করেন তবে আপনি আপনার পেজ এ লাইক দেয়া অডিয়েন্সকে বাদ দিবেন।
আবার আপনি যদি আপনার অফার পুরাতনদের কাছে দিতে চান তাহলে আপনার পুরাতন লাইক দেয়া অডিয়েন্সদের আপনি টার্গেট করবেন। আপনি চাইলে আপনার লাইক দেয়া অডিয়েন্সদের ফ্রেন্ডদের টার্গেট করতে পারেন যারা পূর্বে আপনার সার্ভিস/প্রোডাক্ট নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
৫) ফেইসবুক এডস প্লেসমেন্ট সিলেক্ট করুন

নিচের দিকে স্ক্রল করে আপনি এডস কোথায় বসাবেন তা দেখতে পাবেন। আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন ফেইসবুক এডভার্টাইসিং এ তাহলে আপনি অটোমেটিক প্লেসমেন্ট সিলেক্ট করতে পারেন।
আপনি যখন অটোমেটিক অপশনটি সিলেক্ট করবেন তখন ফেইসবুক আপনার এডসটি তার পছন্দের জায়গায় বসিয়ে দিবে। আপনি যদি খুব বেশি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পছন্দের জায়গায় আপনি এডস বসিয়ে নিতে পারেন।
আপনি এডস প্লেসমেন্ট যেসকল অপশন পাবেন;
ডিভাইস: মোবাইল; ডেস্কটপ অথবা দুইটাই
প্লাটফর্ম: ফেইসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক অথবা মেসেঞ্জার
প্লেসমেন্ট: ফিডস, স্টোর, ভিডিও, মেসেঞ্জার, আর্টিকেল এবং এপপ্স ও অন্যান্য সাইট।
নির্দিষ্ট মোবাইল ডিভাইস এবং অপারেটিং সিস্টেম : আইওএস, এন্ড্রয়েড, ফীচার ফোন অথবা অন্য সব ডিভাইস।
স্টেপ-০৬: আপনার বাজেট ও সিডিউল নির্ধারণ করুন

এই স্টেপ এ এসে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফেইসবুক এডস ক্যাম্পাইন এ আপনি কত টাকা খরচ করবেন। আপনাকে ডেইলি অথবা লাইফটাইম বাজেট সিলেক্ট করতে হবে তারপর শুরু ও শেষ ডেট সিলেক্ট করে দিন।
আপনি অবশ্য অ্যাডভান্স বাজেট অপসন এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে টাকা খরচ করবেন তার ডিটেলস দেখতে পারবেন।
আপনি একটা বিষয় মাথায় রাখবেন আপনি যদি বেশি দিন ফেইসবুক এডস ক্যাম্পাইন চালাতে চান তবে সিডিউল করে এডস ক্যাম্পাইন চালাতে পারেন। যখন আপনার সিলেকশন শেষ হয়ে যাবে এবং আপনার অডিয়েন্স সাইজ ইনডিকেটর নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন তখন আপনি কন্টিনিউতে “ক্লিক” করবেন।
স্টেপ: ৭ এডস ক্রিয়েট করুন

আপনি প্রথমে এডস ফরম্যাট তারপর আপনি টেক্সট এবং মিডিয়া উপাদান গুলো আপনার এডস এ ঢুকান। আপনার এডস ফরমেট হবে ক্যাম্পাইন লক্ষ্য অনুযায়ী। পেজের শেষের দিকে প্রিভিউ টুলস ব্যবহার করে এডস দেখতে কেমন হবে তা দেখে নিন (ল্যাপটপ/ডেস্কটপ)। যখন আপনি আপনার এডস সিলেকশন নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন তখন আপনি গ্রীন বাটন এ ক্লিক করে অর্ডার সাবমিট করে দিন। তারপর ফেইসবুক থেকে অপপ্রবাল মেইল নোটিফিকশন এর জন্য অপেক্ষা করুন।
- ২০২৪-এ এসইও ট্রেন্ড হিসেবে কি কি কাজ করবে ? - June 21, 2023
- ভাইরাল মার্কেটিং: ২০২৪ সালে নতুন সাফল্যের উপায়? - June 21, 2023
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং মার্কেটিং: প্রয়োজনীয়তা ও সুযোগ - June 21, 2023