কিভাবে আপনি কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি বাড়াতে পারেন।

আপনি কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি ইম্প্রোভ করতে চান? রেডিয়াবিলিটি ইম্প্রোভ করতে হলে আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আজ আপনাদের সাথে কিছু টিপস শেয়ার করবো কিভাবে কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি বাড়াতে পারেন তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন।

রিডেবিলিটি কি?

রিডেবিলিটি হচ্ছে কনটেন্ট এর উপর একটি পরিষ্কার এবং সহজলভ্য উপায়ে ধারণা পাওয়াকেই বুঝায়।  বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ত। তাদের অতিরিক্ত লম্বা বাক্য পড়া এবং জটিল শব্দ ডিক্টোনারী খুলে দেখার সময় নাই।

সেন্টার ফর প্লেইন ইংলিশ ব্যাখ্যা করছে:

“আপনার ডিজিটাল কন্টেন্টকে পরিষ্কার এবং সহজে যাতে বোঝা যায় সেইভাবে তৈরী করাই হচ্ছে রিডেবিলিটি।” যখন আপনি কন্টেন্টের রিডেবিলিটির উপর মনোযোগ দেন, তখন আপনার টার্গেট পাঠকের আপনার কনটেন্ট পড়ার এবং রিয়েক্ট করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই কারণে, রিডেবিলিটি আপনার কনটেন্ট স্ট্রেটেজি একটি স্বাভাবিক অংশ হওয়া উচিত।

রিডেবিলিটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কল্পনা করুন আপনাকে হাই স্কুলের ইংরেজি শেখানোর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, আপনি কখনো কোন লেসন প্ল্যান তৈরি করেননি। তাই, আপনি লেসন প্ল্যান তৈরির করার জন্য ইন্টারনেট এ সার্চ করলেন “how to articles on creating lesson plans”। সার্চ করার পর আপনি যেসকল রেজাল্ট পেলেন তারমধ্যে ২টি অনুচ্ছেদ তুলে ধরলাম।

“Even if you had plenty of practice writing lessons during your teacher training, it’s hard to be prepared for the avalanche of lesson planning you’ll have to do once your first year of teaching begins.”

এই কথাকে আপনি কিন্তু আরো সহজ ভাবে লিখতে পারতেন, এমন “A lesson plan is the instructor’s road map of what students need to learn and how it will be done effectively during the class time.”
আমার কাছে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটি বুঝার ক্ষেত্রে বেশি সহজ লাগছে।

রিডেবিলিটি ইম্প্রোভ করার জন্য কি কোন প্রমাণিত কৌশল আছে?

রিডেবিলিটি ইম্প্রোভ করার জন্য আপনি গ্রামারলি প্রিমিয়াম/pro writing aid/ রিডেবল দিয়ে আপনার কনটেন্ট রিডেবিলিটি চেক করতে পারেন। আপনার কনটেন্ট এর যেই যেই অংশে রিডেবিলিটি ইস্যু আছে তা আপনি এই টুলস গুলো দিয়ে চেক করে ঠিক করে নিতে পারবেন।

আপনার কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি বাড়ানোর জন্য ৭টি কৌশল নিচে দেয়া হলো:  

১) ছোট এবং সহজ ওয়ার্ড ব্যবহার করুন 

আপনার কনটেন্ট এ যত বেশি অক্ষর যুক্ত শব্দ থাকবে, ততই রিডারদের পড়া কঠিন হবে। আপনার লিখায় যদি 4-অক্ষর শব্দ ব্যবহার করেন কিন্তু একই অর্থের আপনি চাইলে একটি 2-অক্ষর শব্দ ব্যবহার করে করা যায় তাহলে আপনি 2-অক্ষর শব্দ ব্যবহার করাই উত্তম। ধরেন আপনি লিখায় “inchoate” or “inordinate” এর মতন শক্ত ওয়ার্ড ব্যবহার করলেন। তাহলে আপনি মোটামোটি নিশ্চিত থাকেন আপনি রিডার হারাবেন। যত সহজ ওয়ার্ড ও ছোট ওয়ার্ড ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।

২)  বাক্যাংশ সংক্ষিপ্ত করুন 

আপনার বাক্যাংশ সংক্ষিপ্ত রাখলে ও জটিল বাক্যাংশ ব্যবহার না করলে কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি বৃদ্ধি পাবে। যদি আপনার কনটেন্ট এ দীর্ঘ বাক্য থাকে, তাহলে সেগুলিকে কয়েকটি সংক্ষিপ্ত বাক্যে ভাঙ্গার চেষ্টা করুন। ‘প্রতি সেন্টেন্স এ  একটি আইডিয়া বা আলোচনার অংশ রাখার নীতির উপর মনোযোগ দিন। আপনার কি একটি বাক্যে একাধিক আলোচনার অংশ আছে? যদি থাকে তাহলে তার পরিবর্তে আপনি ঐ সেন্টেন্সকে ভেঙ্গে নতুন একটি বাক্যাংশ শুরু করুন। 

৩) Adjectives এবং adverbs ফিক্স করুন

Adjective  এবং Adverb , যাকে “modifier” ও বলা হয়। মোডিফায়ার আবার noun বা verb এর মিনিং কিছুটা পরিবর্তন করে দেয়।  এই পরিবর্তন প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে কিছু অতিরিক্ত কাজ করতে হবে। যদি না আপনার Adjective এবং Adverb একটি বাক্যের অর্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হয়, সেগুলি কেটে ফেলুন।

৪) লিখা কঠিন করা পরিহার করুন 

অনেক সময় দেখা যায় লিখার ধরণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন ভাষা ব্যবহার করে যা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে না। মনে রাখবেন আপনি যখন লিখছেন তখন আপনার টার্গেট পাঠক কে ? তারা কোন পর্যায়ের লিখা পড়ে, তাদের কথা মাথায় রেখেই লিখবেন।

৫) পাঠক-ফ্রেন্ডলি ফন্ট ব্যবহার করুন

কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে ফন্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার কনটেন্ট যদি ফন্টের জন্য রিডারের পড়তে সমস্যা হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনার লিখাটা রিডেবিলিটির গ্রহনযোগ্যতা হারায়। তাই আপনি ফন্ট হিসেবে এমন ফন্ট বেছে নিন যেটা রিডারের চোখে ভালো যেমনঃ Times New Roman, Arial, Helvetica, and Open Sans 

৬) ছোট প্যারা ব্যবহার করুন 

লম্বা শব্দ এবং লম্বা বাক্য যেমন রিডেবিলিটি কমিয়ে দেয়, তেমনি অতিরিক্ত লম্বা প্যারাগ্রাফ পাঠকদের পড়তে অনীহা তৈরী করে। 
তাই প্যারাগ্রাফ গুলা ছোট ছোট করে ও বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট রিডেবিলিটি বাড়াতে পারেন।   

৭) আপনার রাইটিং রিডেবিলিটি টেস্ট করুন 

যদিও এইক্ষেত্রে আপনাকে পুরাপুরি টুলস রেজাল্ট এর উপর নির্ভর করতে হবে। আপনি কনটেন্ট লিখার পর গ্রামারলি প্রিমিয়াম/pro writing aid/ রিডেবল দিয়ে চেক করতে পারেন।  সাধারণ পাঠকের ক্ষেত্রে গ্রামারলি প্রিমিয়াম অনুযায়ী ৬০-৮০ মধ্যে রিডেবিলিটি রাখা ও অন্যান্য যারা ১-১০ মধ্যে রিডেবিলিটি দেখায় সেইক্ষেত্রে আপনাকে ৬-৮ এর মধ্যে খুব ভালো একটা স্কোর। 

Yaqub Nipu
আপনার ইমেইলে বাংলায় ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং এসইও রিলেটেড লেটেস্ট খবর ও আপডেট পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap