কখন ব্যাকলিংক করবেন ? বা করার উপযুক্ত সময় কোনটা ?

যারা ব্লগার বা নিশ সাইট নিয়ে কাজ করছেন তাদের সবার একটাই টার্গেট কীওয়ার্ড রাংকিং। যত রাঙ্ক ততো ট্রাফিক তাই বেশির ভাগ ব্লগার বা এফিলিয়েট মার্কেটার উদ্বিগ্ন থাকে যখন তার কীওয়ার্ড ১ম পেজ এ না আসে। তাই অনেকে ব্যাকলিংক করা শুরু করে দেয়।  এখন প্রশ্ন হচ্ছে ১) ব্যাকলিংক কখন করবো ? ২) কোন কোন ব্যাকলিংক গুলা বেশি কায্যকর ?

ব্যাকলিংক কখন করবো ?

প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আপনার কনটেন্ট অবশ্যই SEO ফ্রেইন্ডলী হতে হবে। অবশ্যই কম্পেটিটর থেকে বেশি শব্দের ও তথ্য থাকতে হবে। এর পর যদি গুগল এ আপনার কীওয়ার্ড ২য় পেজ এ চলে আসে তাহলে ভালো আর যদি ৪/৫ বা কোনো পেজ এ না থাকে তাহলে আপনার কনটেন্ট ঠিক করেন।

কোন কোন ব্যাকলিংক গুলা বেশি কায্যকর ?

এখন আসি মূলকথায়, আমি ধরে নিলাম আপনার কীওয়ার্ড ২য় পেজ এ আছে কোনোভাবে কীওয়ার্ড ১ম পেজ এ রাঙ্ক করছে না সেক্ষেত্রে আপনি ব্যাকলিংক শুরু করে দেন আবার যারা ১ম পেজ আছেন তারাও ব্যাকলিংক করবেন কারণ না হলে আপনি গুগল ডান্সে পরে যাবেন আপনার কীওয়ার্ড রাঙ্কিং হারাবে। কীওয়ার্ড এর শক্ত অবস্থানের জন্যই ব্যাকলিংক।

বেশি কায্যকর ব্যাকলিংক গুলো নিয়ে আলোচনা করার আগে একটা কথা বলে রাখি অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে অনেক সাইট এর কোনো ব্যাকলিংক নেই কিন্তু কীওয়ার্ড রাঙ্ক করে কি করে তাদেরকে বলবো ওই সকল ওয়েবসাইট গুলো অথোরেটিভ আর তাদের কনটেন্ট ও অনেক তথ্য বহুল তাই তারা অনেক ক্ষেত্রে লিংক অর্জন করে থাকে তাও Do-follow লিংক। এই অর্জন করা লিংক গুলা গুগল অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। যেমন ধরেন উইকিপিডিয়া কে আমরা এক্সটার্নাল লিংক দিচ্ছি তেমনি ভাবে অথরিটি সাইট গুলাও লিংক পেয়ে থাকে। আপনিও কনটেন্ট ট্রাফিক ফ্রেইন্ডলী লিখেন আপনার কনটেন্ট অবশ্যই রাঙ্ক করবে, আপনিও লিংক অন্য সাইট থেকে অর্জন করতে পারেন। তবে ওই রাঙ্ক ধরে রাখার জন্য কি কি ব্যাকলিংক করতে হয় এখন আমি তা বলছি।

প্রথম ধাপে, ফাউন্ডেশন ব্যাকলিংক; ফাউন্ডেশন ব্যাকলিংক গুলো হচ্ছে ব্লগ কমেন্ট, ফোরাম পোস্টিং, ওয়েব ২.০

দ্বিতীয় ধাপে, সোশ্যাল শেয়ার করবেন।

তৃতীয় ধাপে, আপনি পিডিএফ শেয়ারিং, ডিরেক্টরি সাবমিশন (ব্যাবসা/ব্যবসায়িক পেজ)

চতুর্থ ধাপে, গেস্ট পোস্ট, কমিউনিটি পোস্ট, HARO লিংক, ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং মেথড গুলো ব্যবহার করবেন।

উপরে উল্লেখিত মেথডস গুলা হচ্ছে খুব প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত। এই মেথডস গুলো পুরোনো কিন্তু বেশ কাজের। কথায় আছে Old IS Gold.

আরো কিছু মেথডস আছে ঐগুলো অ্যাডভান্স ব্যাকলিংক যেমন : লিংকস রাউন্ডউপস, পডকাস্ট, গেস্টটোগ্রাফি, প্রি-আউটরীচ

লিংকবিল্ডিং এ সতর্কতা :

অনেকে PBN করে কিন্তু এইটা একবার ধরতে পারলে গুগল পেনাল্টি খাবেন তাই STAY SAFE. গুগল প্রতিনিয়ত তার এলগরিদম পরিবর্তন করছে তাই যেকোনো ব্ল্যাক হেট এস ই ও মেথডস রেকমেন্ডেড নয়।          

Yaqub Nipu
আপনার ইমেইলে বাংলায় ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং এসইও রিলেটেড লেটেস্ট খবর ও আপডেট পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

1 thought on “কখন ব্যাকলিংক করবেন ? বা করার উপযুক্ত সময় কোনটা ?”

Leave a Comment

Share via
Copy link
Powered by Social Snap