পৃথিবীতে যত কোম্পানি আছে, তার ৫৪%ই তাদের সাপোর্ট রিলেটেড কাজগুলো আউটসোর্স করে। গত বছর শুধুমাত্র আমেরিকার কোম্পানিগুলোই ৩ লক্ষ আউটসোর্সিং রিলেটেড জব পোস্ট করেছে এবং ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। গত দুই বছর আগের ডাটা অনুযায়ী আউটসোর্সিং এর বাজার এখন ৮৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
সুতরাং এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যেকারো আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক।
চলুন শুরু করা যাক –
ফ্রীল্যানসিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখানে আপনি কোনো কাজের জন্য বা কোনো প্রজেক্টের জন্য ঘন্টা প্রতি বা ডেইলি বেসিস বা প্রজেক্ট হিসেবে মাসিকও পেমেন্ট পেয়ে থাকবেন।
ফ্রীলান্সাররা কোম্পানির সাথে ডাইরেক্ট এমপ্লয়ি হিসেবে চাকরি করে না। তারা বেশির ভাগ সময় সাব-কন্ট্রাক্ট এ কাজ করে থাকে। মূল কথা হচ্ছে, একজন ফ্রীলান্সার নির্দিষ্ট কাজের জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে কাজ করে থাকে।
- 1 কাদের জন্য ফ্রীল্যানসিং?
- 2 ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেয়া একটু কঠিন হবে যাদের জন্যে
- 3 কিভাবে ফ্রীল্যানসিং শুরু করা যায়?
- 4 মার্কেটপ্লেস জব
- 5 ফাইভার কি? কি করে একাউন্ট করা হয়?
- 6 আপওয়ার্ক? কি করে একাউন্ট করা হয়?
- 7 ফ্রিল্যান্সার ডট কম ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
- 8 পিপল পার আওয়ার কি ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
- 9 গুরু.কম কি ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
- 10 আউটসোর্সিং এর জন্যে নিজের পোর্টফোলিও তৈরী করবেন কিভাবে?
কাদের জন্য ফ্রীল্যানসিং?
আসলে আমরা ফ্রীল্যানসিংকে যতটা সহজ করে দেখি ততটা সহজ না। যারা প্রফেশনালি এই কাজ করতে চায়, তাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে নিজের দক্ষতা বাড়ানো ও সাথে কাজকে ভালোবাসা। এখন চলুন জেনে নেই কাদের জন্য ফ্রীল্যানসিং পেশা :
- -যারা কাজ শেখার ধৈর্য রাখে
- -যাদের শেখার প্রবণতা আছে
- -যারা নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করে
- -পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম
- -যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মত কমিউনিকেশন জানে
- -যারা পরিশ্রম করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেয়া একটু কঠিন হবে যাদের জন্যে
অনেক মনে করেন ফ্রীল্যানসিং করা খুব সহজ। আসলে আপনি যদি সঠিক কাজটি না জানেন বা ক্লাইন্ট যেভাবে কাজ করতে চায় বা আপনি সমস্যা সমাধান দিতে না পারেন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য না। নিচে জেনে নেই করা না আসলে ভালো;
- -যারা কাজের চেয়ে টাকাকে মূল্যায়ন করেন।
- -যারা সহজে আয়ের পথ খুঁজছেন।
- -যারা মনে করছেন শেখা শুরুর ১ মাসের মধ্যেই কারিকারি টাকা আয় করবেন।
- -যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে এই পেশার জন্য আগ্রহী হয়েছন।
- -যারা ফ্রিল্যান্সিং কে খুব সহজ ভাবেন।
- -যারা চাকরির বা অন্য পেশার পাশাপাশি সাইড ইনকাম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কে ভাবছেন।
কিভাবে ফ্রীল্যানসিং শুরু করা যায়?
আগে জেনে নিন আপনি কোন ফিল্ড এ কাজ করতে পারবেন তার জন্য আপনি মার্কেটপ্লেসে যেয়ে কাজের ফিল্ড গুলা দেখে নিন ও বুঝার চেষ্টা করুন কোন ফিল্ডের সাথে আপনার স্কিল খাপ খায়। চলুন নিচের বিস্তারিত আলোচনা থেকে জেনে নেয়া যাক;
১) যেটা আপনি ভালো জানেন ঠিক ঐটা দিয়েই শুরু করেন :
মার্কেটপ্লেসে যেয়ে কাজের ফিল্ড গুলা দেখে নিন তারপর যেসকল জব পোস্ট করা আছে ঐগুলা ঘেটে দেখুন। আপনার ইন্টারেস্ট, শিক্ষাগতযোগ্যতা, দক্ষতা অনুযায়ী কোন ফিল্ডে কাজ করতে পারবেন তা দেখে নিন।
২) দক্ষতা বৃদ্ধি করুন:
সব মিলিয়ে যদি আপনার কাজের দক্ষতা কম থাকে তবে অবশ্যই আপনার স্কিল উন্নয়ন ঘটান। এর জন্য আপনি আপনার কাজের রিলেটেড রিসৌর্স নিয়ে অনলাইন এ পড়াশুনা শুরু করে দেন। পরিচিত কেউ থাকলে পরামশ নিন। কাজ রিলেটেড ফেইসবুক গ্রুপ গুলাতে প্রশ্নের মাধ্যমেও বিভিন্ন কিছু শিখতে পারেন।
3) আপনার নিজের সার্ভিস প্রমোট করুন :
কাজের দক্ষতা তো বাড়ালেন এখন আপনি কিভাবে আপনার সার্ভিস সেল করতে পারেন? কয়েক ভাবেই আপনি অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তার মধ্যে ক্লাইন্ট এর কাজ করাটা অনেক বেশি পরিচিত।
তাই আজ আমি এখন মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করবো। এক এক করে সব পপুলার মারকেতপ্লেস কভার করার চেষ্টা করবো।
মার্কেটপ্লেস জব
অনলাইন এর কাজ গুলোর জন্য মার্কেট প্লেস গুলাতে গিগ/ প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে আপনি ক্লাইন্ট সার্ভিস দিতে পারেন। মার্কেট প্লেস এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে FreeeUp, Freelancer, upwork, Fiverr, OnlineJobs.ph, People per hour, Guru. এই সকল প্লাটফর্মে আপনি যেসকল ক্যাটাগরির কাজ পাবেন তা হচ্ছে;
Web, Mobile & Software Dev |
IT & Networking |
Data Science & Analytics |
Engineering & Architecture |
Design & Creative |
Writing |
Translation |
Legal |
Admin Support |
Customer Service |
Sales & Marketing |
Accounting & Consulting |
তাই কাজ পাবার বা করার আগে আপনাকে প্রোফাইল তৈরী করে নিতে হবে চলুন জেনে নেই মার্কেটপ্লেসে কিভাবে আপনি প্রোফাইল করবেন ও কি করলে কাজ পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ফাইভার কি? কি করে একাউন্ট করা হয়?
বর্তমানে ফাইভার একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম। ফাইভার শুরু হয় Micha Kaufman এবং Shai Wininger নামের ২ জন ব্যক্তির মাধ্যমে, ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে ইসরাইলের তেল আবিব শহরে।
এটি মূলত ফ্রীল্যানসিং যেকোনো দক্ষতা কেনা বেচার একটি জায়গা। এই প্লাটফর্মে সবচাইতে কম খরচে আপনি আপনার কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি এই প্লাটফর্মে বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেন তবে আপনি ছোট ছোট কাজ গুলা করতে পারবেন। ফাইভার এ কাজের রেট শুরু হয় ৫ ডলার থেকে। আপনি যদি অনলাইনের যেকোনো কাজে পারদর্শী হন তাহলে আপনি ফাইভার এ একটি একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
কি করে ফাইভারে একাউন্ট খুলবেন?
ফাইভার হচ্ছে ফ্রীলান্সারদের জন্য সবচাইতে পছন্দের একটি মার্কেটপ্লেস। এই প্লাটফর্মে আপনি সহজেই একাউন্ট খুলতে পারবেন। তাহলে চলুন কি করে ফাইভার এ একাউন্ট করতে হয় তা বিস্তারিত জেনেনি ;
স্টেপ-০১:

প্রথমে আপনার ব্রাউজার থেকে ফাইভার প্রবেশ করবেন। ফাইভার এ প্রবেশ করার পর নিচের মত একটা পেজ আসবে। পেজের উপরের দিকে দেখেন join লিখা আছে। Join লিখতে এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ -০২:

Join ক্লিক করার পর একটা পপ-আপ পেজ আসবে। পপ-আপ এ ২ টি অপশন পাবেন ফেসবুক ও জিমেইল। আপনি যেকোনোটি দিয়েই ফাইভার একাউন্ট করতে পারবেন। আপনি যদি মেইল একাউন্ট থেকে একাউন্ট খুলতে চান তবে মেইল এ ক্লিক করে আপনার মেইল এ এক্সেস এলাও করুন। অথবা আপনি যদি ফেসবুক থেকে একাউন্ট করতে চান তাহলে ফেইসবুক বাটন এ ক্লিক করুন আপনার ফেইসবুক একাউন্ট এর সাথে একিভূত করুন। অথবা আপনি আপনার অন্য যেকোনো মেইল একাউন্ট দিয়ে করতে চান তাহলে ছবিতে দেয়া খালি বক্সে মেইল আইডি দিয়ে continue বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৩:

আপনি যদি আলাদা মেইল আইডি দিয়ে ফাইভার একাউন্ট খুলতে চান তাহলে কন্টিনিউ বাটন এ চাপ দেয়ার পর একটা পপ আপ পেজ আসবে ওখানে আপনি আপনার user name এবং passwoed বসিয়ে join বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৪:

এরপর আপনার ইমেইল এ একটা কনফারমেশন মেসেজ যাবে ইনবক্স থেকে মেইলটি ওপেন করে “Active Your Account ” এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৫:

এখন আপনার ফাইবার একাউন্টটা একটিভ। এর পর আপনার প্রোফাইল এডিট করার পালা। কারন আপনার প্রোফাইল যদি প্রফেশনাল না হয়ে থাকে তবে বায়ারের থেকে কাজ পাবার আশা ছেড়ে দিতে হবে। কারন প্রথম পর্যায়ে ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইল দেখবেন। আপনি যত ভাল কাজ পারেন না কেন বায়ার কিন্তু আগে আপনার কাজ দেখবে না দেখবে আপনার প্রোফাইল। এই জন্যেই আগে আপনার ফাইভার প্রোফাইলটা প্রফেশনাল মানের করতে হবে। আপনার প্রোফাইল এডিট করার জন্য প্রথমে আপনার ইউসার নাম এর উপর ক্লিক করুন তারপর Profile এ ক্লিক করুন।
স্টেপ -০৬:


এই স্টেপে ছবির উপর ক্লিক করে আপনার একটি সুন্দর ও প্রফেশনাল লাগে এমন একটি ছবি ব্যবহার করুন। ডেসক্রিপশন অপশনটিতে যেয়ে এডিট এ ক্লিক করে আপনি কি কাজ করেন তার উপর জোর দিয়ে ডেস্ক্রিপশনটা লিখবেন। যাতে ক্লাইন্ট আপনার বায়ো পরে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে থাকে।
স্টেপ-৭:

ফাইভার এ আপনি Take Test নামের অপশন পাবেন। ঐখান থেকে আপনি ইংলিশ স্কিল টেস্ট ও আপনার কাজের উপর দক্ষতার টেস্ট দিলে আপনার প্রোফাইল ভারী হবে। নতুনদের জন্য এই টেস্ট কাজ পেতে খুব ভালো কাজে দেয়।
স্টেপ-৮:

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ফাইভার এ সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাড করুন। সাথে আপনার স্কিল যোগ করুন। এছাড়াও আপনার এডুকেশন লেভেল ও সার্টিফিকেট (আপনার কাজের দক্ষতার) থাকলে যোগ করুন।
উপরের স্টেপ গুলো ঠিক থাকে করার পর আপনার ফাইভার একাউন্টটি সম্পূর্ণ তৈরী। এখন আপনি আপনার কাজের জন্য গিগ বানাতে পারেন।
ফাইভারে গিগ তৈরী করবেন কিভাবে?
ফাইবার একাউন্ট তো হয়ে গেলো এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি গিগ তৈরী করবেন :
১)আপনার সাব-ক্যাটাগরি খুঁজে বের করুন :
আপনার একাউন্ট এ লগইন করার পর আপনি যে ক্যাটাগরিতে কাজ করবেন ওই ক্যাটাগরিতে যেয়ে যারা কাজ করছে এবং যাদের রিভিউ ভালো তাদের গিগ গুলা আগে পর্যালোচনা করুন। আপনি এর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিলেন আপনি এসইও নিয়ে কাজ করবেন তাহলে এসইও রিলেটেড গিগ গুলা নিয়ে প্ল্যান করুন।
২) গিগ কম্পিটিশন দেখুন :
ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার পর আপনি আপনার কম্পিটিটর গিগ গুলা দেখুন। বিশেষত আপনি ৪.৭ রেটিং এর উপর গিগ গুলা পর্যালোচনা করুন। দেখেন তারা কি কি বিষয় তাদের প্রোফাইল এ আলোচনা করেছে?
তারা কি তাদের সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করেছে?
তারা যা অফার করছে আপনিও কি তা অফার করতে পারবেন ?
এমন কোনো এক্সট্রা অফার আছে যা তারা করে নাই আপনি করতে পারবেন ?
একদম গিগের শেষ পর্যন্ত আপনি দেখুন ডেসক্রিপশন পড়ুন। গিগে কোথায় কোথায় কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ্য করুন। সেই গুলা আপনি পয়েন্ট আকারে নোট রাখুন।
৩) আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করুন :
আপনাকে অবশ্যই ইউনিক ও ৮০ ক্যারেক্টর এর মধ্যে আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করতে হবে। যে গুলা লক্ষ্য রাখবেন;
– এডজেক্টিভে ব্যবহার করুন
– ডেলিভারি টাইম যদি আপনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে হয় তবে আপনি তা টাইটেল এ রাখতে পারেন।
– ৮০ ক্যারেক্টর এর মধ্যে টাইটেল দিন।
৪) সাব-ক্যাটাগরি ও ট্যাগ সিলেক্ট করুন:
আপনি ক্যাটাগরি থেকে সাব-ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার পর গিগ মেটা ডাটা সিলেক্ট করুন। গিগ মেটা ডাটা আপনি সর্বোচ্চ ৫ তা দিতে পারবেন।
৫) ফাইভার গিগ প্যাকেজের দাম নিধারণ করুন :
এই সেটকেশন এ আপনি ৩ ধরণের প্রাইস অফার করতে পারেন। ১) বেসিক ২) স্ট্যান্ডার্ড ৩) প্রিমিয়াম। আপনার -৩ টি অফারের নাম দেয়া হয়ে গেলে আপনি ১০০ ক্যারেক্টর করে চোখে পরে এমন ডেসক্রিপশন দিবেন।
– অফার প্রাইস ৫ ডলার থেকে শুরু হয়ে ৯৫৫ ডলার পর্যন্ত হবে।
– তারপর আপনি আপনার গিগের এক্সট্রা অপশনটি যোগ করুন।
-রিভিশন
-এক্সট্রা ফাস্ট ডেলিভারি
-আপনার গিগের কাজের সাথে রিলেটেড কোনো কাজ অফার করতে পারেন।
৬) গিগ ডেসক্রিপশন :
এই স্টেপে আপনি এমন গিগ ডেসক্রিপশন দেন যাতে বায়ার আপনার গিগ অর্ডার করে। জেনে নেই কি কি থাকতে হবে ডেস্ক্রিপশনে;
-সুবিধা গুলা হাইলাইট করেন
– আপনাকে কেন কাজ দিবে সেইটার উত্তর দিন
– আপনার সার্ভিস অফারে কি কি থাকছে সেইটা ক্লিয়ার করুন
– যদি আপনার কোনো প্রোফাইল থেকে থাকে যেটি অনেক ভালো কিছু যেমনঃ পোর্টফোলিও সাইট বা কোনো ওয়েবসাইট যেটা আপনাকে ঐ কাজের এক্সপার্ট হিসেবে চিহ্নিত করে।
৭) রেকমেন্ডেশন ও FAQ :
কাজ করতে গেলে আপনার কোন কোন ডকুমেন্ট ক্লাইন্ট থেকে দরকার ঐগুলা উল্লেখ করুন সাথে FAQ অ্যাড করুন।
৮) রিভিউ :
এই সেকশন এ আপনি আপনার গিগ রিলেটেড ছবি দিন সাথে ভিডিও যদি সম্ভব হয় তাহলে অ্যাড করুন।
তার পর গিগ পাবলিশড করুন।
কিভাবে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন :
বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানোর উপর কিন্তু আপনার কাজ পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে থাকে। আপনি দিনে ১০ তা রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। নিচে কি কি রাখলে কাজ পাবার প্রবণতা বাড়ে তা দিলাম;
– প্রপোসালটি রেলিভেন্ট ও ডেস্ক্রিপটিভ দিবেন।
-লো প্রাইস এ বিড করুন যেহেতু আপনি নতুন
– বায়ার এর সমস্যার সমাধান নিয়ে কয়েক লাইন লিখুন।
একটা এক্সাম্পল অ্যাড করলাম;
আপনি প্রথমেই hi/ hello বলেই নাম দিয়ে সম্বোধন করবেন যেমনঃ ক্লাইন্ট এর নাম যদি হয় rob তাহলে আপনি Hi Rob দিয়ে শুরু করবেন।
– আপনাকে এই কাজের জন্য ইনভাইট করার জন্য ধন্যবাদ দিন।
– ২/৩ তা কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন করুন
-১/২ লাইনে আপনি কেন এই কাজের জন্য পারফেক্ট তা বলুন
-তারপর আপনার নাম দিয়ে বায়ার প্রপোসাল শেষ করুন।
টেমপ্লেট দেয়া হলো :
Hello [Client Name],
[If applicable: Thanks for the job invitation.] It’s a pleasure to meet you. [Ask 3-4 short but relevant questions about the job here even it seems unnecessary. This shows that you’ve read the description and know your stuff, and also invites the client to begin a conversation with you.]
[Qualify yourself briefly here. 1-2 lines that communicate why you’d be a good fit for this job. Focus on the budget, time and accuracy of your service here.]
Best regards,
[Your Name]
আপওয়ার্ক? কি করে একাউন্ট করা হয়?
আপওয়ার্ক হচ্ছে elence ও Odesk থেকে গঠিত জনপ্রিয় ফ্রীল্যানসিং প্লাটফর্ম। যেখানে বিসনেস ও মুক্ত পেশার প্রফেশনালরা যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে দূরবর্তী অবস্থান থেকে কাজ সম্পাদন করে থাকে।
আপওয়ার্ক হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১ কোটি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে এই প্লাটফর্মে। এই মূহূর্তে আপওয়ার্কে ৪ লক্ষের উপর কাজ রয়েছে। প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য “একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য” অথবা “ঘন্টা প্রতি কাজের জন্য অর্থ” উভয় প্রকারের কাজ পাওয়া যায়। আপওয়ার্ক মুলত স্বাধীনভাবে চুক্তিবদ্ধ কাজ অফার করে থাকে। আপওয়ার্ক হচ্ছে অন্যান মার্কেটপ্লেস এর মতন, যেখানে একজন চাকরিদাতা এবং একজন ফ্রীল্যান্সার একে অপরের সাথে চুক্তি করে থাকেন।
কিভাবে একাউন্ট করা হয় ?
চলুন জেনেনি কি করে আপওয়ার্ক একাউন্ট খুলতে হয়।
স্টেপ -০১:

প্রথমে আপনার ব্রাউজার থেকে আপওয়ার্ক ওয়েবসাইট এ যান। ওয়েবসাইট এড্রেস www.upwork.com
স্টেপ-০২:

আপওয়ার্ক ওয়েবসাইট এ যাবার পর আপনি উপরে ডান পাশে signup বাটন পাবেন ঐখানে ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৩:

ক্লিক করার পর নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে আপনার প্রথম নাম শেষ নাম ও ইমেইল আইডি দিবেন।
স্টেপ-০৪:

তারপর “Sign me up ” নামক সবুজ বাটন এ ক্লিক করে নাম ও ইমেইল এড্রেস কন্ফার্ম করুন।
স্টেপ-০৫:

আপনার মাতৃভূমি সিলেক্ট করুন, পাসওয়ার্ড দিন ও আপনি যদি ফ্রীলান্সার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে “Work as a Freelancer” বাটন এ ক্লিক করুন আর যদি আপনি কাজ করিয়ে নিতে চান তাহলে “Hire for a Project” বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৬:

তারপর আপনি আপনার ইউসার নাম বক্সে ক্লিক করে ইউসার নাম দিবেন। যদি “Hire for a Project” হয় তবে ইউসার নাম দেয়ার দরকার নাই।
স্টেপ-০৭:

ইমেজ ক্যাপচা অনুযায়ী বক্সে ক্যাপচা পূরণ করে নিন।
স্টেপ-০৮:


আপওয়ার্ক এর টার্মস ও কন্ডিশন এর বক্সটি টিক দিয়ে “Create my account” বাটন এ ক্লিক করুন। ভেরিফিকেশন লিংক পাবেন ঐ লিংক এ ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করুন।
স্টেপ-০৯:
এই স্টেপে আপনি আপনার সার্ভিস সিলেক্ট করুন। আপনার সার্ভিস এর ক্ষেত্রে আপনি ৪টি আলাদা সাব ফিল্ড অ্যাড করতে পারবেন একটি মেইন ফিল্ড এর মধ্যে।
স্টেপ-১০:

এই ক্ষেত্রে আপনি স্কিল নামক ড্রপ ডাউন বাক্স পাবেন ঐখানে ক্লিক করলে আপনি আপনার স্কিল অনুযায়ী সিলেক্ট করে দিবেন।
স্টেপ-১১:

আপনি এইবার “What skills do you offer clients?” এই সেক্শনটিতে আপনার প্রফেশনাল স্কিল অ্যাড করবেন।
স্টেপ-১২:

স্কিল অ্যাড করার পর আপনার কোন লেভেল এর স্কিল আছে ঐটা সিলেক্ট করবেন। Entry Level or Intermediate or Expert যে লেভেলের স্কিল আছে ঐ লেভেল অ্যাড করে save & continue বাটন এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-১৩:

এই স্টেপে আপনি একটি প্রফেশনাল ছবি অ্যাড করবেন। ছবি অ্যাড করার জন্য “Add a photo now” অপশনটিতে ক্লিক করবেন। “Choose File” অপশনটি আসবে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে একটি ভালো ছবি আপলোড দিবেন save বাটন এ ক্লিক করে ছবি save করবেন।
স্টেপ-১৪:

“Add a professional title that describes the work you do” এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইল এর প্রফেশনাল টাইটেল দিবেন।
স্টেপ-১৫:

“Write a professional overview” এই বক্সে ক্লিক করে আপনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স ও ইন্টারেস্ট লিখুন।
স্টেপ-১৬:

এরপর আপনি “Education” ফিল্ড এ ক্লিক করে আপনার এডুকেশন ডিটেলস দিন। “Empolyment History” তে ক্লিক করে আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকলে ডিটেইলস দিন।
স্টেপ-১৭:

“Select your proficiency” ক্লিক করুন ড্রপ ডাউন এ আপনার ইংলিশ এর দক্ষতা যেরূপ তা সিলেক্ট করে দিন। স্টেপ-১৮:

“Hourly Rate” ফিল্ড এ ক্লিক করুন আপনার ঘন্টা প্রতি চার্জ নির্ধারণ করুন।
স্টেপ-১৯:

এই অপশনটিতে ক্লিক করুন “How many hours do you have available for work each week?” এবং প্রতি সপ্তাহে কত ঘন্টা কাজ করবেন তা নির্ধারণ করুন।
স্টেপ-২০:

আপনার এড্রেস ও লোকেশন ডিটেলস দিন। “Review Application” বাটন এ ক্লিক করুন। Review Application
এরপর আপনি আপনার এপ্লিকেশনটি “Submit Application” এই বাটন এ ক্লিক করে সাবমিট করবেন।
সাবমিট করার পর আপওয়ার্ক ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেসপন্স করবে।
যদি আপনার এপ্লিকেশন অপ্প্রভ হয় তবে আপনি জব এপলাই করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ আপওয়ার্ক এ এখন আর Test দিতে হয় না।
অতিরিক্ত টিপস হিসেবে যা থাকা জরুরি:
– আপনার ক্লাইন্টকে কিভাবে সহায়তা করতে পারেন।
– আপনার প্রোফাইল ও স্কিল এর মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন
– প্রতিটি সেক্শনে বিশাস ও আস্থা প্রতিষ্ঠা করুন
– আপনার ভাষা সংক্ষিপ্ত ও সোজাসাপ্টা রাখুন
– আপনার প্রোফাইল ভিসিবলিটি আপডেট করুন
– অন্য প্রফেশনাল একাউন্ট এর সাথে লিংক করুন
– দ্রুত রিপ্লাই করুন।
বায়ার প্রপোসাল কিভাবে দিবেন ?
-আপনি প্রথমেই hi/ hello বলেই নাম দিয়ে সম্বোধন করবেন যেমনঃ ক্লাইন্ট এর নাম যদি হয় rob তাহলে আপনি Hi Rob দিয়ে শুরু করবেন।
– আপনাকে এই কাজের জন্য ইনভাইট করার জন্য ধন্যবাদ দিন।
– ২/৩ তা কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন করুন
-১/২ লাইনে আপনি কেন এই কাজের জন্য পারফেক্ট তা বলুন
-তারপর আপনার নাম দিয়ে বায়ার প্রপোসাল শেষ করুন।
টেমপ্লেট দেয়া হলো :
Hello [Client Name],
[If applicable: Thanks for inviting me on this job.] It’s a pleasure to meet you. [Ask 3-4 short but relevant questions about the job here that might triggers your buyer to ask more questions to you. This shows that you’ve read the description and know your stuff, and also invites the client to begin a conversation with you.]
[Qualify yourself briefly here. 1-2 lines that communicate why you’d be a good fit for this job.]
Best regards,
[Your Name]
ফ্রিল্যান্সার ডট কম ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
ফ্রিল্যান্সার ডট কম হলো একধরনের অনলাইন মার্কেট প্লেস যেখানে আপনি ঘরে বসেই বিদেশি ক্লাইন্ট /কোম্পানিদের কাজ করা যায়। এই প্লাটফর্মটি তাদের ফ্রীলান্সারদের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ দিয়ে থাকে।
এটি ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কার্যালয় লন্ডন, ম্যানিলা, ভনকোভার এবং বুয়েন্স আয়ার্সেও রয়েছে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সারে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ?
চলুন জেনেনি কি করে ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ একাউন্ট খুলতে হয়।
স্টেপ -০১:
প্রথমে আপনার ব্রাউজার থেকে ফ্রিল্যান্সার ডট কম ওয়েবসাইট এ যান। ওয়েবসাইট এড্রেস https://www.freelancer.com/
স্টেপ-০২:
ফ্রিল্যান্সার ডট কম ওয়েবসাইট এ যাবার পর আপনি উপরে ডান পাশে signup বাটন পাবেন ঐখানে ক্লিক করুন। অথবা আপনি “I want to Work” এই বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৩:
ক্লিক করার পর নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে আপনি ২টি অপশন পাবেন signup করার জন্য। “Connect with facebook” অথবা আপনি ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “Join Freelancer” বাটন এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-০৪:
এই স্টেপ এ আপনাকে User name দিতে হবে। তারপর “Next” এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-০৫:
তারপর আপনি “Select account type” নামে একটি অপশন পাবেন যেখান থেকে “I want to work” ও “I want hire” এই দুইটি অপশন পাবেন। “I want to work” এই অপশন এ ক্লিক করবেন। “Successful signup” লিখাটি দেখতে পাবেন।
স্টেপ-০৬:
স্কিল সিলেক্ট অপশন এই স্টেপ এ আসবে। আপনি ২০টি স্কিল সিলেক্ট করতে পারবেন। আপনি সার্চ বাটন থেকে আপনার স্কিল গুলি খুঁজে সিলেক্ট করে দিতে পারেন। তারপর “Next Step” বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৭:
“Complete Your Profile” নামে আরো একটি অপশন সামনে আসবে। আপনি সেখান থেকে আপনার পুরো নাম ও language সিলেক্ট করে দিবেন। Expeience নামের আরো একটি অপশন পাবেন যেখানে আপনার স্কিল এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাওয়া হবে। আপনি Beginner/Intermideate/Advance আপনার স্কিল অনুযায়ী যেকোনো একটি ক্লিক করবেন। তারপর “next step” এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-০৮:

এই স্টেপ এ আপনাকে payment option সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনি চাইলে “skip for now” তে ক্লিক করে স্কিপ করতে পারেন এই পেমেন্ট মেথডস পরেও অ্যাড করে নিতে পারেন।
স্টেপ-০৯:

এই স্টেপে আপনাকে “Free Trail” করতে বলবে ১ মাস এর জন্য কিন্তু আপনি প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ নিবেন না তাই “skip for now” এই বাটন এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-১০:

আপনাকে মেইল ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে। আপনি আপনার মেইল এ ঢুকে freelancer.com এর একটি মেইল পাবেন ঐখানে ভেরিফিকেশন লিংক পাবেন ঐ লিংক এ ক্লিক করে ভেরিফাই করে নিবেন।
স্টেপ-১০:
এরপর আপনার কন্টাক্ট নম্বর দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করবেন। কান্ট্রি বাংলাদেশ ও আপনার নম্বর বক্সে দিবেন।আপনার মোবাইল এ একটি কোড দিবে ঐ কোডটি আপনার ফরম এ দিবেন ও “Verify Button” এ ক্লিক করবেন।
স্টেপ-১১:

পরের স্টেপ এ আপনার প্রোফাইল ডিটেলস চাওয়া হবে সেখানে আপনার নাম ও এড্রেস দিবেন।
স্টেপ-১২:

এই স্টেপে আপনি একটি প্রফেশনাল ছবি অ্যাড করবেন। ছবি অ্যাড করার জন্য ছবির ঘরের উপর ক্লিক করবেন। “Choose File” অপশনটি আসবে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে একটি ভালো ছবি আপলোড দিবেন save বাটন এ ক্লিক করে ছবি save করবেন।
স্টেপ-১৩:

Edit profile থেকে আপনার প্রোফাইলের “Enter Your Professional Headline” এই অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইল এর প্রফেশনাল টাইটেল দিবেন।
স্টেপ-১৪:

“Enter Your Profile Summary” এই বক্সে ক্লিক করে আপনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স লিখুন।
স্টেপ-১৫:

এরপর আপনি “Education” ফিল্ড এ ক্লিক করে আপনার এডুকেশন ডিটেলস দিন। “Experience” তে ক্লিক করে আপনার পূর্বের অভিজ্ঞতা থাকলে ডিটেইলস দিন।
স্টেপ-১৬:

“Add portfolio” অপশন এ ক্লিক করে আপনার কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা কিছু ডেমো অ্যাড করে নিতে পারেন ।
স্টেপ-১৭:

“Get Certification” এইখানে আপনি আপনার কাজের রিলেটেড সার্টিফিকেট থাকলে অ্যাড করে নিতে পারেন।
স্টেপ-১৮:

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট Facebook ও linkedin ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ অ্যাড করুন। এর মাধ্যামে আপনার প্রোফাইল ৬০% ঠিক থাক হয়ে যাবে।
স্টেপ-১৯:

১০০% ঠিক করতে হলে ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ আপনি Test নামের অপশন পাবেন। ঐখান থেকে আপনি ইংলিশ স্কিল টেস্ট দিলে আপনার প্রোফাইল ভারী হবে ও ১০০% প্রোফাইল দেখাবে। নতুনদের জন্য এই টেস্ট কাজ পেতে খুব ভালো কাজে দেয়।
বায়ার প্রপোসাল কিভাবে দিবেন ?
টেমপ্লেট দেয়া হলো :
Hello [Client Name],
[If applicable: Thanks for the job invite.] It’s a pleasure to meet you. [Ask 3-4 short but relevant questions about the job here. This shows that you’ve read the description and know your stuff, and also invites the client to begin a conversation with you.]
[Qualify yourself briefly here. 1-2 lines that communicate why you’d be a good fit for this job.]
Best regards,
[Your Name]
পিপল পার আওয়ার কি ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
পিপল পার আওয়ার UK বেসড কোম্পানি। যার কাজ হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্ম এ ফ্রীলান্স ওয়ার্কারদের বিসনেস এর সুযোগ করে দেয়া। প্রতিষ্টাকাল ২০০৭, Xenios Thrasyvoulou এবং Simos Kitiris নামের ২ জন এই অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্স কোম্পানি শুরু করেন। এর বর্তমান অফিসটি লন্ডন ও এথেন্স এ অবস্থিত। একটি জরিপে দেখা গিয়েছে দশক ধরে ৩,৫৮,০০০ এর বেশি ফ্রীলান্সার পিপল পার আওয়ার এ কাজ করে যাচ্ছে।
পিপিএইচ এ একাউন্ট করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড
চলুন জেনেনি কি করে পিপল পার আওয়ার একাউন্ট খুলতে হয়।
স্টেপ -০১:

প্রথমে আপনার ব্রাউজার থেকে পিপল পার আওয়ার ওয়েবসাইট এ যান। ওয়েবসাইট এড্রেস https://www.peopleperhour.com
স্টেপ-০২:

পিপল পার আওয়ার ওয়েবসাইট এ যাবার পর আপনি উপরে ডান পাশে signup বাটন পাবেন ঐখানে ক্লিক করুন। অথবা আপনি signup with facebook এই বাটন এ ক্লিক করুন বা আপনি একটু নিচে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পাবেন সেখানে আপনার “FIRST NAME”/LAST NAME/YOUR EMAIL ADDRESS/PASSWORD দিয়ে আপনার “ACCOUNT TYPE” “Freelancer” সিলেক্ট করুন।
স্টেপ-০৩:

আপনি লগইন অবস্থায় ডেশবোর্ড দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনি আপনাটির প্রোফাইল যাবেন।
স্টেপ-০৪:

এই স্টেপে আপনি একটি প্রফেশনাল ছবি অ্যাড করবেন। ছবি অ্যাড করার জন্য ছবির ঘরের উপর ক্লিক করবেন। “Choose File” অপশনটি আসবে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে একটি ভালো ছবি আপলোড দিবেন save বাটন এ ক্লিক করে ছবি save করবেন সাথে রিলেভেন্ট কভার ছবি দিবেন।
স্টেপ-০৫:

ছবির নিচে Edit থেকে আপনার প্রোফাইলের “FIRST NAME” “LAST NAME” ও “Job title” দিবেন।
স্টেপ-০৬:

এই স্টেপে “per hour rate” দিবেন ও ফোন নম্বর দিবেন।
স্টেপ-০৭:

“About You” এই বক্সে ক্লিক করে আপনার কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স লিখুন।
স্টেপ-০৮:

“Your Profile skill” অপশনটিতে আপনি আপনার স্কিল অ্যাড করুন।
স্টেপ-০৯:

“Add portfolio” অপশন এ ক্লিক করে আপনার কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা কিছু ডেমো অ্যাড করে নিতে পারেন ও লোকেশন দিন।
স্টেপ-১০:

“Notify me about” অপশনটিতে “Remort work only” অপশনটি সিলেক্ট করে done ক্লিক করুন।
স্টেপ-১১:

“settings” থেকে আপনি পরবর্তীতে ব্যাংক উইথড্রল, এড্রেস, ট্যাক্স, আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট ও কার্রেন্সি অ্যাড করে নিতে পারবেন।
হয়ে গেলো আপনার পিপল পার আওয়ার একাউন্ট। এখন আপনি কাজের জন্য বিট করতে পারবেন।
বায়ার প্রপোসাল কিভাবে দিবেন ?
টেমপ্লেট দেয়া হলো :
Hello [Client Name],
[If applicable: Thanks for the job invite.] It’s a pleasure to meet you. [Ask 3-4 short but relevant questions about the job here. This shows that you’ve read the description and know your stuff, and also invites the client to begin a conversation with you.]
[Qualify yourself briefly here. 1-2 lines that communicate why you’d be a good fit for this job.]
Best regards,
[Your Name]
গুরু.কম কি ? কি করে একাউন্ট করা হয় ?
গুরু.কম হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস। যার কাজ হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্ম এ কোম্পানি গুলোকে কমিশন বেসড ফ্রীলান্স ওয়ার্কারদের দিয়ে কাজ করিয়ে দেয়া। প্রতিষ্টাকাল ১৯৯৮, Inder Guglani নামের একজন এই অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্স কোম্পানি শুরু করেন। এর বর্তমান অফিসটি রাশিয়ার পিটসবাগ এ অবস্থিত।
কিভাবে একাউন্ট খুলবেন গুরু ডট কমে?
চলুন জেনেনি কি করে গুরু ডট কম একাউন্ট খুলতে হয়।
স্টেপ -০১:

প্রথমে আপনার ব্রাউজার থেকে গুরু ডট কম ওয়েবসাইট এ যান। ওয়েবসাইট এড্রেস https://www.guru.com/
স্টেপ-০২:

গুরু ডট কম ওয়েবসাইট এ যাবার পর আপনি উপরে ডান পাশে sign up বাটন পাবেন ঐখানে ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৩:

আপনার নাম, ইমেইল এড্রেস দিন ভালো করে একবার দেখে নিন সব ঠিকঠাক কিনা ? তারপর Terms of Service অপশনটিতে agree বাটন এ ক্লিক করুন।
স্টেপ-০৪:

সিলেক্ট করুন want to Hire (Employer) or Work (Freelancer) তারপর একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
স্টেপ-০৫:
আপনার ভেরিফিকেশন ইমেইলটি ৪ ডিজিট এর “verification code” দিয়ে ভেরিফাই করুন।
স্টেপ-০৬:

সিকিউরিটি প্রশ্ন গুলো সেটআপ করুন বা আপনি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন।
নোট : আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া দিয়েও একাউন্ট লিংক করে signin করতে পারেন।
বায়ার প্রপোসাল কিভাবে দিবেন ?
টেমপ্লেট দেয়া হলো :
Hello [Client Name],
[If applicable: Thanks for the job invite.] It’s a pleasure to meet you. [Ask 3-4 short but relevant questions about the job here. This shows that you’ve read the description and know your stuff, and also invites the client to begin a conversation with you.]
[Qualify yourself briefly here. 1-2 lines that communicate why you’d be a good fit for this job.]
Best regards,
[Your Name]
কিভাবে মার্কেটপ্লেসের বাহির থেকে ক্লাইন্ট আনবেন?
এছাড়াও আপনি যেভাবে ক্লাইন্ট আনতে পারেন তা নিচে দেয়া হলো :
১) ফেসবুক গ্রুপ:
ফেইসবুক গ্রুপ গুলাতে অনেক সময় আপনি ফ্রিল্যান্স কাজের পোস্ট পাবেন যার মাধ্যমে আপনি আপনার সার্ভিস সেল করতে পারেন।
২) কোল্ড ইমেইল :
এই স্ট্রেটেজি একটু ইন্টারমিডিয়েট লেভেল বিগেনারদের জন্য। কোল্ড পিচইং হচ্ছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাইন্টদের মেইল করে তাদের বুঝবেন যে আপনার সার্ভিস কেন তাদের অনলাইন বিসনেস এর জন্য প্রয়োজন।
৩) রেফারেলস :
আপনার বেশ কিছু রেগুলার ক্লাইন্ট থাকলে তাদের রেফারেলের মাধ্যমে আপনি সহজেই নতুন ক্লাইন্ট পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট ক্লাইন্ট নেটওয়ার্ক থাকতে হবে।
আউটসোর্সিং এর জন্যে নিজের পোর্টফোলিও তৈরী করবেন কিভাবে?
আপনি হয়তো বলতে পারেন আপনি বিগেনার হিসেবে তেমন অভিজ্ঞতা নাই তাহলে কিভাবে নিজের পোর্টফোলিও সাজাবেন ? আপনি একটা ব্লগ তৈরী করে আপনি আপনার কাজের রিলেটেড এমন কিছু রিসোর্স শেয়ার করেন যা পরে মানুষ উপকৃত হয়।
১) পোর্টফোলিও সাইট তৈরী করুন :
আপনি নিজের একটি পোর্টফোলিও সাইট তৈরী করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি নিজের পরিচিতি তুলে ধরতে পারেন। ফ্রি ওয়েবসাইট দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন যেমন ব্লগার , ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়েবলি
২) সোশ্যাল মিডিয়াত প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করুন :
আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে যে প্রোফাইল আছে সেটা প্রফেশনালি সাজান। প্রফেশনাল ছবি, বায়ো ও আপনার পোস্ট গুলা অবশ্যই যাতে কাজ রিলেটেড হয়।
৩) মার্কেটপ্লেস এ প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করুন :
মার্কেটপ্লেস এ আপনার প্রোফাইল ভালো ভাবে অপ্টিমাইজ করেন যাতে জব পেতে সহজ হয়। কারণ অপ্টিমাইজ করা প্রোফাইল থাকলে আপনার গিগ বা প্রোফাইল ভালো রাঙ্ক করবে।
৪) টেস্টিমোনিয়াল দিতে বলুন:
যেসকল ক্লাইন্ট এর সাথে আপনার দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে ও একটা ভালো সম্পর্ক হয়েছে তাদেরকে আপনি আপনার পোর্টফোলিও সাইট এ টেস্টিমোনিয়াল দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যাতে আপনার সাইটটি অন্যদের কাছে বেশি প্রফেশনাল মনে হয়
৫) সব সময় শিখতে থাকুন :
নতুন নতুন আপডেট সম্পর্কে জানুন। স্কিল ডেভেলপ করুন। ধরুন আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হন তবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে হবে, কিভাবে এনগেজমেন্ট বাড়াতে হবে। অনলাইন সবসময় নতুন আপডেট এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন। তা না হলে আপনি একসময় এই সেক্টরে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাজে লাগবে।
- ২০২৪-এ এসইও ট্রেন্ড হিসেবে কি কি কাজ করবে ? - June 21, 2023
- ভাইরাল মার্কেটিং: ২০২৪ সালে নতুন সাফল্যের উপায়? - June 21, 2023
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং মার্কেটিং: প্রয়োজনীয়তা ও সুযোগ - June 21, 2023
Thanks bro